ad160

এই ব্লগটি সন্ধান করুন

Author Details

I am Nazir Hossain. This is my personal blog website. My facebook profile link --->> https://www.fb.com/mdnajirhossaina If you want, you can follow me on facebook.

সর্বশেষ

সম্পাদক : মোহাম্মাদ আজহারুল ইসলাম
এম
এস ডিজাইন লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | সংবাদ৫২.কম
এস এম অফিস রোড, বড় বাজার, বানিয়াচং, সিলেট - ৩৩৫০
মোবাইল: +৮৮ ০৮৩২৪ ১২৩৪৫৬ ফ্যাক্স: ৮৮ ০১৭১১-১২৩৪৫৬
-->

কি ভয়ানক জায়গা - নাজির হোসেন

কি ভয়ানক জায়গা নাজির হোসেন পৃথিবীর মদ্ধে এখনও কিছু কিছু ভয়ানক জায়গা আছে যাতে কোনো মানুষেরা বসবাস করে না। আর শুনে এসেছি যে যায়গায় মানুষজন বসবাস করে না সে যায়গায় নাকি কিছু ভয়ানক অসুভ শক্তি প্রবেশ করে। যাইহোক আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এবার একটি অপূরুপ যায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমাদের মনে ভাবনা আসলো আমরা এবার টেকনাফ যাব। কারণ টেকনাফ যাওয়ার পথে আমরা অনেক যায়গা দেখতে পাব। প্রথমেই আমরা উপভোগ করবো রাঙ্গামাটির সেই রুপসি কন্যার অপরুপ যায়গা গুলি। শুনে এসেছি রাঙ্গামাটি নাকি প্রকৃতির রুপসি কন্যায় ঢাকা। কত অপরুপে আর কত সুন্দর, কত পাহাড়, কত পর্বত সেখানে নাকি। আবার কক্সবাজার বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। তাই আমাদের এবারের টার্গেট টেকনাফ যাব এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখবো। যায় হোক আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি গাড়ি নিয়ে রংপুর থেকে রওয়ানা হলাম টেকনাফ পথে। আমাদের গাড়িটা যেন খুব দ্রুত গতিতে চলতে লাগলো। আমরা দুদিন গাড়িতে জার্নি করার পর প্রায় চট্রগ্রামের কাচাকাচি পৌছলাম। সেই সময় আমার এক বন্ধু বলল আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে, আমি তখন বললাম তাইতো আমার ও খুব ক্ষুধা পেয়েছে, যাইহোক ড্রাইভারকে বললাম ভাই একটু গাড়িটা সামনে কোনো বাজার পেলে দাড় করাবেন, তখন ড্রাইভার বললো ঠিক আছে। কিন্তু একটু পর পরই আমরা চট্রগ্রামের থানা মির সরাই পেলাম, সেখানে গাড়িটা একটু দাড় করালো ড্রাইভার। তখন আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি হোটেল এ বসলাম, হোটেলে ৫ জন বন্ধু ৫ প্লেট খাবার নিয়ে খেয়ে পেট গরম করে ১০ প্যাকেট বিরিয়ানির টোপলা নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম আমাদের যাত্রার পথে। আমরা প্রায় চট্রগ্রাম শহরের একদম কাচাকাচি পৌছে গেলাম। সেখানে গাড়িটা দাড় করে ৫ বোটল পানি নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম। আমরা প্রায় চট্রগ্রামের শেষ সিমানা রেখার কাচাকাচি তিনটি রাস্টা পেলাম। আমাদের এখানে একটু দুঃচিন্তা হলো, এবার আমরা কোন পথে যাবো। অনেক রাত হয়েছে সে সময় রাস্তায় কেউ নেই যে আমরা যে কাউকে জিঙ্গেস করবো। একটু চিন্তা করে আমরা ভাবলাম এই রাস্তা মনে হয় সামনে কক্সবাজারে উঠেছে সেজন্য আমারা সাইটের রাস্তা দিয়েই যাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু কিছু দূর জেতে না জেতেই সামনে আমরা দেখতে পেলাম বিশাল বিস্তৃত বন। তখন আমার বন্ধু বললো কিরে আর কই যাবি সামনে তো বিশাল বন আমার খুব ভয় হচ্ছে রে, বন্টা কি ভয়ানক মনে হচ্ছেরে, আমি তখন বললাম "সাব্বির এতো ভয় পাইতেছিস ক্যান" তখন সাব্বির বললো ভয় পাবো না মানে, চারিদিকে তো শুধু অন্ধকার আর গল্পের বইয়ে পড়েছি এসব যায়গায় নাকি ভুতেরা থাকে, আমি তখন সাব্বির কে একটা ঝেংরা দিয়ে বললাম "চুপ কর তোর আবল তাবল ভাষা" এখন আজকের রাত টা কিভাবে কাটানো যায় সেই চিন্তা কর। আমি তখন ড্রাইভার কে বললাম, ভাই আপনে গাড়িটা একটু সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করান। সে সময় আমাদের গাড়িটার ও সমস্যা হয়েছে। আমার কথা শুনে ড্রাইভার গাড়িটাকে সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করালো, পরে আমি ড্রাই ভার ও ৫ জন বন্ধু মিলে সামনের দিকে হাটতে লাগলাম, আজকের রাতটা কাটানোর জন্য। আমরা একটু সামনে দেখলাম একটা বৃদ্ধ লোক, তখন আমি বললাম, ওই যে সামনে একটা পুরানো বাড়ি দেখা যাচ্ছে সেখানে গিয়ে আজকের রাতটা কাঠাবো ওখানে একজন লোক ও আছে, তখন সাব্বির বললো ভাইরে ওটা মনে হয় ভুত, সামনে না জাই, আমি তখন বললাম " এই গাধা এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল" তখন সাব্বির বললো চলো" তারপর আমরা ৫ বন্ধু ও ড্রাইভার সহ পুরোনো বাড়িটার দিকে যাওয়া শুরু করলাম। লোকটি আমাদের দেখে, আমাদের দিকে আসতেছে, এবং এসে আমাদে প্রশ্ন করলো "তোমরা কারা এতো রাত্রে কি করো এখানে? তখন আমি বললাম "আমরা ৫ বন্ধু মিলে টেকনাফ যাইতেছি কিন্তু আমাদের গাড়িটা খারাপ হওয়ায় আমরা আপনার এই বাড়িতে আজকের রাত টা কাটানোর জন্য এসেছি"। প্লিজ থাকতে দেন, " তখন লোকটি বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো তোমরা জানো না এখানে গভির রাতে অনেক ভয়ানক আত্তা চলাচল করে"। তখন আমি বললাম "প্লিজ আমাদের আজকের রাতটা থাকতে দেন, আমরা ভুল করেছি, কাল সকাল হলেই আবার চলে যাবো"। শেষ পর্যন্ত লোকটি আমাদের অনুমতি দিলো এবং বললো " ভেতরে যাও, ভেতর থেকে কোথাও যাবেন না, কাল সকাল হলেই চলে যাবেন,। বলে লোকটি চলে গেলো বাহিরে। আমি তখন সবাই কে বললাম "চলো সামনের মেজে পরিস্কার করে ঘুমাবো" এবার সবাই মিলে আমরা মেজে পরিস্কার করে মেজেতেই শুয়ে পরলাম, একটু পর আমাদের ঘুম ও ধরে গেল। কিন্তু হঠ্যাৎ করে কি জেন একটা শব্দ হলো সেই শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিন্তু উঠে দেখি সোবহান নেই, তখন সাব্বির ও সবাইকে বললাম কিরে সোবহান কই, এই ছেলে কই গেল আবার, তখন সাব্বির বললো মনে হয় ভুতে ধরে নিয়ে গেছে, এবার আমাদের ও ধরবে"। আমি বললাম, "চুপ কর বাহিরে গিয়ে আগে দেখি", আমরা সবাই এক সঙ্গে বাহিরে বাহির হলাম, এবং সামনে দেখলাম সোবহান, আমি সোবহান কে বললাম "কিরে কই গেছলি", তখন সোবহান বললো "আমার প্রসাপ লাগছিলো তাই প্রসাপ করতে গেছলাম", তখন আমি বললাম, "তুই প্রসাপ করতে যাবি আমাদের বলা লাগবেনা, সোবহান বললো, "আরে আমার খুব প্রসাপ লাগছিলো সেজন্য বলিনি, আর জানিস আমি প্রসাপ করতে ধরছি ঠিক তখন একটা শব্দ হলো, আমি খুব ভয় পাছলাম, কিন্তু আমি আসতে ধরেছি তখন আমার কানে নাচের শব্দ আসলো, আমি ওই সামনের গাছটিতে গিয়ে দেখি কিছু ভয়ানক লোক তবলা বাজাচ্ছে আর নাচতেছে, আমি তখন বললাম" চুপ করতো তোর মাথা গেছে, আউল বাউল বকা শুরু করে দিছিস। তখন সোবহান বললো আমি জানি তুই বিস্যাশ করবিনা সে জন্য আমি আরার মোবাইল এ সব ভিডিও করে নিয়েছি দেখবি, আমি বললাম দেখা দেখি, তখন সোবহান মোবাইল বাহির করে ভিডিও চালু করলো, কিন্তু আমি দেখি ভিডিওর মদ্ধে কিছুই নেই, শুধু বটগাছ টি আমি তখন শান্তকে বললাম কিরে গাধা কিছু নাই তো শুধু বট গাছ টি, তখন শান্ত বললো না আমি তো ওই ভয়ংকর লোকগুলিকে ভিডিও করলাম, তখন আমি বললাম তা হলে কেউ গেল তারা, তখম শান'ত বললো মনে হয় আমার ফোনে ভুত ডুবেছে বলেই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিল শান্ত আমি বললাম কিরে তোর মাথা খারাপ হয়েছে নাকি, যে তুই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিলি, চলতো দেখি কোথায় ভুত তখন শান্ত বললো চল আজকে আমি তোক ওই ভুত গুলি দেখাবো, আর এদিকে শান্ত বললো যদি আবার ভুত গুলি আমাদেরকে ধরে, আমি একটু রাগ হয়ে বললাম ওই তুই এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল আমার সাথে, শান্ত আমাদেরকে ওই বটগাছ টার ওখানে নিয়ে গেল, আমি তাকিয়ে দেখি বটগাছ টার নিচে কিছুই নেই, আমি রাগ হয়ে বললাম ওই গাধা কইরে ভুত, বুজছি তোর মাথা যেটুকু ভাল ছিল সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে, চল ঘরে যাই নইলে আবার শত্তি শত্তি ভুত আসবে, আমরা সবাই ঘরে জেতে ধরলাম কিন্তু সেই মুহুর্তে পেছন থেকে যেন কে একজন বললো কই যাও তোরা, আমরা সবাই মিলে পেছন দিকে তাকিয়ে দেখি ওরে বাবা কি ভয়ানক লিম্বা লোকটি, আমরা সবাই দেখে থত থর করে কাপতে লাগলাম, কেউ ভয়তে কথা বলতে পারছে না লোকটিকে দেখে, আমিও খুব ভয় পেয়েছি এবং সাহস করে সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করতে লাগলাম, প্রথমে বললাম, "আপনি কে ভাই? ভুতটি বললো আমি এই প্রাসাদের একসময় মন্ত্রি ছিলাম, আবার আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি মরে গেছেন? লোকটি বলো হ্যা আমি আজ থেকে দু বছর আগে মরে গেছি, শেষে আমি বললাম আপনি কি চান আমাদের কাছ থেকে, লোকটি গম্ভীর কন্ঠে বললো তোদের জান, আমি খুব ভয় পেলাম যেন আমার কলজা টা আকাশে উড়ে গেছে, শুধু আমিই না সবারঈ। আমি বললাম ভুত ভাই কেন আমাদের মারবেন,। সঙ্গে সঙ্গে সে বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো এবং এই ভুলের সাজা মৃতু। আমরা তখন সবাই বললাম "আমাদের মাপ করে দেন এরকম ভুল আর কখনই হবে না, তখন ভুতটি বললো না তোদের সাজা পেতেই হবে, মৃতুর জন্য প্রস্তুত হও, আমরা তখন সবাই মিলে একসাথে বললাম, আমরা প্রস্তুত, আল্লাহ্‌ যদি তোর হাতে মৃতু লেখে রাখেন তবে তোর হাতেই হবে আর মৃতু যদি না লিখে থাকে তা হলে শত চেস্টা করলে ও পারবিনা আমাদের মারতে,। তখন ভুতটি ক্ষিপ্ত হয়ে বললো "কথা না বারিয়ে বল তোরা মৃতুর জন্য প্রস্তুত তো" আমরা সবাই বললাম "হ্যা আমরা প্রস্তুত" তখন ভুতটি হাত বাড়ালো সঙ্গে সঙ্গে একটা ধারালো তলোয়ার ভুতটির হাতে আসলো। আমরা সবাই মাথা নত করলাম, ভুতটি আমাদের দিকে তলোয়ার দিয়ে গলা কাটতে ধরলো, কিন্তু যখনি তলোয়ার দিয়ে আঘাত করতে ধরলো তখনি যেন ভুতটির হাত থেকে তলোয়ার পরে গেল মাটিতে এবং সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গেল তলোয়ারটি। আমরা সবাই অবাক, ঠিক তখনি আমাদের সামনে আরেকজন ভয়ানক মানুষ এসে হাজির, মানুষ টিকে ভুতটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে মিসে গেল, আমরা ভাবলাম এইবার মনে হয় এই লোকটি আমাদের মেরে ফেলবেন। কিন্তু একটু পর তা আর হলো না, লোকটি আমাদের বললো তোমরা এখানে কি করো আমি তখন বললাম আমাদের মাপ করবেন, আমরা ভুল পথে এসেছি, তখন ভুতটি বললো আচ্ছা এখন তোমরা ওই প্রাসাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড় এবং কাল সকাল হলেই চলে যাবে। আমি তখন লোকটিকে আপনি কে একটু কইঈ বলবেন? লোকটি তখন বললো, তাহলে শোনো " ওই যে প্রাসাদটি দেখছো সেই প্রাসাদের আমি এক সময় রাজা ছিলাম, আরর যেই লোকটি তোমাকে মারতে ধরেছিল সে আমার মন্ত্রী, কিন্তু আমাকে আমাদের শত্রুরা মেরে ফেলেছিল, কিন্তু আমি তাদের সবাইকে মেরে ফেলেছি, আমি এখন মুক্তি,।বলেই লোকটি মিশে গেল। আমরা তখন সবাই প্রাসাদে গিয়ে ঘুম গেলাম, একটু পরেই ফজরের আজান হলো, আমরা সবাই এক সঙ্গে নামাজ পরে রওয়ানা হলাম আমাদের গন্তব্ব স্থানে।

কি ভয়ানক জায়গা
 নাজির হোসেন



পৃথিবীর মদ্ধে এখনও কিছু কিছু ভয়ানক জায়গা আছে যাতে কোনো মানুষেরা বসবাস করে না। আর শুনে এসেছি যে যায়গায় মানুষজন বসবাস করে না সে যায়গায় নাকি কিছু ভয়ানক অসুভ শক্তি প্রবেশ করে।
যাইহোক আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এবার একটি অপূরুপ যায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমাদের মনে ভাবনা আসলো আমরা এবার টেকনাফ যাব। কারণ টেকনাফ যাওয়ার পথে আমরা অনেক যায়গা দেখতে পাব। প্রথমেই আমরা উপভোগ করবো রাঙ্গামাটির সেই রুপসি কন্যার অপরুপ যায়গা গুলি। শুনে এসেছি রাঙ্গামাটি নাকি প্রকৃতির রুপসি কন্যায় ঢাকা। কত অপরুপে আর কত সুন্দর, কত পাহাড়, কত পর্বত সেখানে নাকি। আবার কক্সবাজার বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। তাই আমাদের এবারের টার্গেট টেকনাফ যাব এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখবো।

যায় হোক আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি গাড়ি নিয়ে রংপুর থেকে রওয়ানা হলাম টেকনাফ পথে। আমাদের গাড়িটা যেন খুব দ্রুত গতিতে চলতে লাগলো। আমরা দুদিন  গাড়িতে জার্নি করার পর প্রায় চট্রগ্রামের কাচাকাচি পৌছলাম। সেই সময় আমার এক বন্ধু বলল আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে, আমি তখন বললাম তাইতো আমার ও খুব ক্ষুধা পেয়েছে, যাইহোক ড্রাইভারকে বললাম ভাই একটু গাড়িটা সামনে কোনো বাজার পেলে দাড় করাবেন, তখন ড্রাইভার বললো ঠিক আছে। কিন্তু একটু পর পরই আমরা চট্রগ্রামের থানা মির সরাই পেলাম, সেখানে গাড়িটা একটু দাড় করালো ড্রাইভার। তখন আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি হোটেল এ বসলাম, হোটেলে ৫ জন বন্ধু ৫ প্লেট খাবার নিয়ে খেয়ে পেট গরম করে ১০ প্যাকেট বিরিয়ানির টোপলা নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম আমাদের যাত্রার পথে। আমরা প্রায় চট্রগ্রাম শহরের একদম কাচাকাচি পৌছে গেলাম। সেখানে গাড়িটা দাড় করে ৫ বোটল পানি নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম। আমরা প্রায় চট্রগ্রামের শেষ সিমানা রেখার কাচাকাচি তিনটি রাস্টা পেলাম। আমাদের এখানে একটু দুঃচিন্তা হলো, এবার আমরা কোন পথে যাবো। অনেক রাত হয়েছে সে সময় রাস্তায় কেউ নেই যে আমরা যে কাউকে জিঙ্গেস করবো। একটু চিন্তা করে আমরা ভাবলাম এই রাস্তা মনে হয় সামনে কক্সবাজারে উঠেছে সেজন্য আমারা সাইটের রাস্তা দিয়েই যাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু কিছু দূর জেতে না জেতেই সামনে আমরা দেখতে পেলাম বিশাল বিস্তৃত বন। তখন আমার বন্ধু বললো কিরে আর কই যাবি সামনে তো বিশাল বন আমার খুব ভয় হচ্ছে রে, বন্টা কি ভয়ানক মনে হচ্ছেরে, আমি তখন বললাম "সাব্বির এতো ভয় পাইতেছিস ক্যান" তখন সাব্বির বললো ভয় পাবো না মানে, চারিদিকে তো শুধু অন্ধকার আর গল্পের বইয়ে পড়েছি  এসব যায়গায় নাকি ভুতেরা থাকে, আমি তখন সাব্বির কে একটা ঝেংরা দিয়ে বললাম "চুপ কর তোর আবল তাবল ভাষা" এখন আজকের রাত টা কিভাবে কাটানো যায় সেই চিন্তা কর।

আমি তখন ড্রাইভার কে বললাম, ভাই আপনে গাড়িটা একটু সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করান। সে সময় আমাদের গাড়িটার ও সমস্যা হয়েছে। আমার কথা শুনে ড্রাইভার গাড়িটাকে সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করালো, পরে আমি ড্রাই ভার ও ৫ জন বন্ধু মিলে সামনের দিকে হাটতে লাগলাম, আজকের রাতটা কাটানোর জন্য।  আমরা একটু সামনে দেখলাম একটা বৃদ্ধ লোক, তখন আমি বললাম, ওই যে সামনে একটা পুরানো বাড়ি দেখা যাচ্ছে সেখানে গিয়ে আজকের  রাতটা কাঠাবো ওখানে একজন লোক ও আছে, তখন সাব্বির বললো ভাইরে ওটা মনে হয় ভুত, সামনে না জাই, আমি তখন বললাম " এই গাধা এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল" তখন সাব্বির বললো চলো" তারপর আমরা ৫ বন্ধু ও ড্রাইভার সহ পুরোনো বাড়িটার দিকে যাওয়া শুরু করলাম। লোকটি আমাদের দেখে, আমাদের দিকে আসতেছে, এবং এসে আমাদে প্রশ্ন করলো "তোমরা কারা এতো রাত্রে কি করো এখানে? তখন আমি বললাম "আমরা ৫ বন্ধু মিলে টেকনাফ যাইতেছি কিন্তু আমাদের গাড়িটা খারাপ হওয়ায় আমরা আপনার এই বাড়িতে আজকের রাত টা কাটানোর জন্য এসেছি"। প্লিজ থাকতে দেন, " তখন লোকটি বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো তোমরা জানো না এখানে গভির রাতে অনেক ভয়ানক আত্তা চলাচল করে"। তখন আমি বললাম "প্লিজ আমাদের আজকের রাতটা থাকতে দেন, আমরা ভুল করেছি, কাল সকাল হলেই আবার চলে যাবো"। শেষ পর্যন্ত লোকটি আমাদের অনুমতি দিলো এবং বললো " ভেতরে যাও, ভেতর থেকে কোথাও যাবেন না,  কাল সকাল হলেই চলে যাবেন,। বলে লোকটি চলে গেলো বাহিরে।

আমি তখন সবাই কে বললাম "চলো সামনের মেজে পরিস্কার করে ঘুমাবো" এবার সবাই মিলে আমরা মেজে পরিস্কার করে মেজেতেই শুয়ে পরলাম, একটু পর আমাদের ঘুম ও ধরে গেল।  কিন্তু হঠ্যাৎ করে কি জেন একটা শব্দ হলো সেই শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিন্তু উঠে দেখি সোবহান নেই, তখন সাব্বির ও সবাইকে বললাম কিরে সোবহান কই, এই ছেলে কই গেল আবার, তখন সাব্বির বললো মনে হয় ভুতে ধরে নিয়ে গেছে, এবার আমাদের ও ধরবে"। আমি বললাম, "চুপ কর বাহিরে গিয়ে আগে দেখি", আমরা সবাই এক সঙ্গে বাহিরে বাহির হলাম, এবং সামনে দেখলাম সোবহান,  আমি সোবহান কে বললাম "কিরে কই গেছলি", তখন সোবহান বললো "আমার প্রসাপ লাগছিলো তাই প্রসাপ করতে গেছলাম", তখন আমি বললাম, "তুই প্রসাপ করতে যাবি আমাদের বলা  লাগবেনা, সোবহান বললো, "আরে আমার খুব প্রসাপ লাগছিলো সেজন্য বলিনি,  আর জানিস আমি প্রসাপ করতে ধরছি ঠিক তখন একটা শব্দ হলো, আমি খুব ভয় পাছলাম, কিন্তু আমি আসতে ধরেছি তখন আমার কানে নাচের শব্দ আসলো, আমি ওই সামনের গাছটিতে গিয়ে দেখি কিছু ভয়ানক লোক তবলা বাজাচ্ছে আর নাচতেছে, আমি তখন বললাম" চুপ করতো তোর মাথা গেছে,  আউল বাউল বকা শুরু করে দিছিস। তখন সোবহান বললো আমি জানি তুই বিস্যাশ করবিনা সে জন্য আমি আরার মোবাইল এ সব ভিডিও করে নিয়েছি দেখবি, আমি বললাম দেখা দেখি, তখন সোবহান মোবাইল বাহির করে ভিডিও চালু করলো, কিন্তু আমি দেখি ভিডিওর মদ্ধে কিছুই নেই,  শুধু বটগাছ টি আমি তখন শান্তকে বললাম কিরে গাধা কিছু নাই তো শুধু বট গাছ টি, তখন শান্ত বললো না আমি তো ওই ভয়ংকর লোকগুলিকে ভিডিও করলাম, তখন আমি বললাম তা হলে কেউ গেল তারা, তখম শান'ত বললো মনে হয় আমার ফোনে ভুত ডুবেছে বলেই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিল শান্ত আমি বললাম কিরে তোর মাথা খারাপ হয়েছে নাকি, যে তুই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিলি, চলতো দেখি কোথায় ভুত তখন শান্ত বললো চল আজকে আমি তোক ওই ভুত গুলি দেখাবো, আর এদিকে শান্ত বললো যদি আবার ভুত গুলি আমাদেরকে ধরে, আমি একটু রাগ হয়ে বললাম ওই তুই এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল আমার সাথে, শান্ত আমাদেরকে ওই বটগাছ টার ওখানে নিয়ে গেল, আমি তাকিয়ে দেখি বটগাছ টার নিচে কিছুই নেই, আমি রাগ হয়ে বললাম ওই গাধা কইরে ভুত, বুজছি তোর মাথা যেটুকু ভাল ছিল সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে,  চল ঘরে যাই নইলে আবার শত্তি শত্তি ভুত আসবে, আমরা সবাই ঘরে জেতে ধরলাম কিন্তু সেই মুহুর্তে পেছন থেকে যেন কে একজন বললো কই যাও তোরা, আমরা সবাই মিলে পেছন দিকে তাকিয়ে  দেখি ওরে বাবা কি ভয়ানক লিম্বা লোকটি, আমরা সবাই দেখে থত থর করে কাপতে লাগলাম, কেউ ভয়তে কথা বলতে পারছে না লোকটিকে দেখে, আমিও খুব ভয় পেয়েছি এবং সাহস করে সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করতে লাগলাম, প্রথমে বললাম, "আপনি কে ভাই? ভুতটি বললো আমি এই প্রাসাদের একসময় মন্ত্রি ছিলাম, আবার আমি প্রশ্ন করলাম,  আপনি কি মরে গেছেন? লোকটি বলো হ্যা আমি আজ থেকে দু বছর আগে মরে গেছি, শেষে আমি বললাম আপনি কি চান আমাদের কাছ থেকে, লোকটি গম্ভীর কন্ঠে বললো তোদের জান, আমি খুব ভয় পেলাম যেন আমার কলজা টা আকাশে উড়ে গেছে, শুধু  আমিই না সবারঈ। আমি বললাম ভুত ভাই কেন আমাদের মারবেন,। সঙ্গে সঙ্গে  সে বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো এবং এই ভুলের সাজা মৃতু। আমরা তখন সবাই বললাম "আমাদের মাপ করে দেন এরকম ভুল আর কখনই হবে না, তখন ভুতটি বললো না তোদের সাজা পেতেই হবে, মৃতুর জন্য প্রস্তুত হও, আমরা তখন সবাই মিলে একসাথে বললাম, আমরা প্রস্তুত, আল্লাহ্‌ যদি তোর হাতে মৃতু লেখে রাখেন তবে তোর হাতেই হবে আর মৃতু যদি না লিখে থাকে তা হলে শত চেস্টা করলে ও পারবিনা আমাদের মারতে,। তখন ভুতটি ক্ষিপ্ত হয়ে বললো "কথা না বারিয়ে  বল তোরা মৃতুর জন্য প্রস্তুত তো"  আমরা সবাই বললাম "হ্যা আমরা প্রস্তুত" তখন ভুতটি হাত বাড়ালো সঙ্গে সঙ্গে একটা ধারালো তলোয়ার ভুতটির হাতে আসলো। আমরা সবাই মাথা নত করলাম, ভুতটি আমাদের দিকে তলোয়ার দিয়ে গলা কাটতে ধরলো, কিন্তু যখনি তলোয়ার দিয়ে আঘাত করতে ধরলো তখনি যেন ভুতটির হাত থেকে তলোয়ার পরে গেল মাটিতে এবং সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গেল তলোয়ারটি। আমরা সবাই অবাক, ঠিক তখনি আমাদের সামনে আরেকজন ভয়ানক মানুষ এসে হাজির, মানুষ টিকে ভুতটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে মিসে গেল, আমরা ভাবলাম এইবার মনে হয় এই লোকটি আমাদের মেরে ফেলবেন। কিন্তু একটু পর তা আর হলো না,  লোকটি আমাদের বললো তোমরা এখানে কি করো আমি তখন বললাম আমাদের মাপ করবেন, আমরা ভুল পথে এসেছি, তখন ভুতটি বললো আচ্ছা এখন তোমরা ওই প্রাসাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড় এবং কাল সকাল হলেই চলে যাবে। আমি তখন লোকটিকে আপনি কে একটু কইঈ বলবেন? লোকটি তখন বললো, তাহলে শোনো " ওই যে প্রাসাদটি দেখছো সেই প্রাসাদের আমি এক সময় রাজা ছিলাম, আরর যেই লোকটি তোমাকে মারতে ধরেছিল সে আমার মন্ত্রী, কিন্তু আমাকে আমাদের শত্রুরা মেরে ফেলেছিল, কিন্তু আমি তাদের সবাইকে মেরে ফেলেছি, আমি এখন মুক্তি,।বলেই লোকটি মিশে গেল। আমরা তখন সবাই প্রাসাদে গিয়ে ঘুম গেলাম, একটু পরেই ফজরের আজান হলো, আমরা সবাই এক সঙ্গে নামাজ পরে রওয়ানা হলাম আমাদের গন্তব্ব স্থানে।

COMMENTS

[demo] Important Notice: According to our terms and conditions all resources for this website must be used with GPL license until May 1st, 2021
অর্থনীতি
https://be075e8d.sibforms.com/serve/MUIEAM0UKoN8OYM0JwbWNEffDqBgBgDKuJOt8MUT4xRoZt3QnGcSULt4SVKnDSJl30T7PZ-eKk4PXiHDyV3BU0fJr73eLdUGXhTLY5oavcO0I0DDaUlnd-XplEBhe9k1b5XDK9wJAH9gvy-GA7URRf3g5eyiogd8rwaB4u3ZnL-pD73DxW7tElpKRwOK3unn0IDnjxF4QWXAhNjJ
নাম

ইসলাম,1,গল্প,4,পড়ালেখা,4,প্রবন্ধ,2,বই রিভিউ,7,বইয়ের আলো পাঠশালা,3,বিজ্ঞান,1,সফলতার গল্প,2,
ltr
item
NazirsNotes: কি ভয়ানক জায়গা - নাজির হোসেন
কি ভয়ানক জায়গা - নাজির হোসেন
কি ভয়ানক জায়গা নাজির হোসেন পৃথিবীর মদ্ধে এখনও কিছু কিছু ভয়ানক জায়গা আছে যাতে কোনো মানুষেরা বসবাস করে না। আর শুনে এসেছি যে যায়গায় মানুষজন বসবাস করে না সে যায়গায় নাকি কিছু ভয়ানক অসুভ শক্তি প্রবেশ করে। যাইহোক আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে এবার একটি অপূরুপ যায়গায় যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। আমাদের মনে ভাবনা আসলো আমরা এবার টেকনাফ যাব। কারণ টেকনাফ যাওয়ার পথে আমরা অনেক যায়গা দেখতে পাব। প্রথমেই আমরা উপভোগ করবো রাঙ্গামাটির সেই রুপসি কন্যার অপরুপ যায়গা গুলি। শুনে এসেছি রাঙ্গামাটি নাকি প্রকৃতির রুপসি কন্যায় ঢাকা। কত অপরুপে আর কত সুন্দর, কত পাহাড়, কত পর্বত সেখানে নাকি। আবার কক্সবাজার বাংলাদেশের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত। তাই আমাদের এবারের টার্গেট টেকনাফ যাব এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেখবো। যায় হোক আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি গাড়ি নিয়ে রংপুর থেকে রওয়ানা হলাম টেকনাফ পথে। আমাদের গাড়িটা যেন খুব দ্রুত গতিতে চলতে লাগলো। আমরা দুদিন গাড়িতে জার্নি করার পর প্রায় চট্রগ্রামের কাচাকাচি পৌছলাম। সেই সময় আমার এক বন্ধু বলল আমার খুব ক্ষুধা পেয়েছে, আমি তখন বললাম তাইতো আমার ও খুব ক্ষুধা পেয়েছে, যাইহোক ড্রাইভারকে বললাম ভাই একটু গাড়িটা সামনে কোনো বাজার পেলে দাড় করাবেন, তখন ড্রাইভার বললো ঠিক আছে। কিন্তু একটু পর পরই আমরা চট্রগ্রামের থানা মির সরাই পেলাম, সেখানে গাড়িটা একটু দাড় করালো ড্রাইভার। তখন আমরা ৫ জন বন্ধু মিলে একটি হোটেল এ বসলাম, হোটেলে ৫ জন বন্ধু ৫ প্লেট খাবার নিয়ে খেয়ে পেট গরম করে ১০ প্যাকেট বিরিয়ানির টোপলা নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম আমাদের যাত্রার পথে। আমরা প্রায় চট্রগ্রাম শহরের একদম কাচাকাচি পৌছে গেলাম। সেখানে গাড়িটা দাড় করে ৫ বোটল পানি নিয়ে আবার রওয়ানা হলাম। আমরা প্রায় চট্রগ্রামের শেষ সিমানা রেখার কাচাকাচি তিনটি রাস্টা পেলাম। আমাদের এখানে একটু দুঃচিন্তা হলো, এবার আমরা কোন পথে যাবো। অনেক রাত হয়েছে সে সময় রাস্তায় কেউ নেই যে আমরা যে কাউকে জিঙ্গেস করবো। একটু চিন্তা করে আমরা ভাবলাম এই রাস্তা মনে হয় সামনে কক্সবাজারে উঠেছে সেজন্য আমারা সাইটের রাস্তা দিয়েই যাওয়া শুরু করলাম। কিন্তু কিছু দূর জেতে না জেতেই সামনে আমরা দেখতে পেলাম বিশাল বিস্তৃত বন। তখন আমার বন্ধু বললো কিরে আর কই যাবি সামনে তো বিশাল বন আমার খুব ভয় হচ্ছে রে, বন্টা কি ভয়ানক মনে হচ্ছেরে, আমি তখন বললাম "সাব্বির এতো ভয় পাইতেছিস ক্যান" তখন সাব্বির বললো ভয় পাবো না মানে, চারিদিকে তো শুধু অন্ধকার আর গল্পের বইয়ে পড়েছি এসব যায়গায় নাকি ভুতেরা থাকে, আমি তখন সাব্বির কে একটা ঝেংরা দিয়ে বললাম "চুপ কর তোর আবল তাবল ভাষা" এখন আজকের রাত টা কিভাবে কাটানো যায় সেই চিন্তা কর। আমি তখন ড্রাইভার কে বললাম, ভাই আপনে গাড়িটা একটু সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করান। সে সময় আমাদের গাড়িটার ও সমস্যা হয়েছে। আমার কথা শুনে ড্রাইভার গাড়িটাকে সামনে নিয়ে গিয়ে দাড় করালো, পরে আমি ড্রাই ভার ও ৫ জন বন্ধু মিলে সামনের দিকে হাটতে লাগলাম, আজকের রাতটা কাটানোর জন্য। আমরা একটু সামনে দেখলাম একটা বৃদ্ধ লোক, তখন আমি বললাম, ওই যে সামনে একটা পুরানো বাড়ি দেখা যাচ্ছে সেখানে গিয়ে আজকের রাতটা কাঠাবো ওখানে একজন লোক ও আছে, তখন সাব্বির বললো ভাইরে ওটা মনে হয় ভুত, সামনে না জাই, আমি তখন বললাম " এই গাধা এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল" তখন সাব্বির বললো চলো" তারপর আমরা ৫ বন্ধু ও ড্রাইভার সহ পুরোনো বাড়িটার দিকে যাওয়া শুরু করলাম। লোকটি আমাদের দেখে, আমাদের দিকে আসতেছে, এবং এসে আমাদে প্রশ্ন করলো "তোমরা কারা এতো রাত্রে কি করো এখানে? তখন আমি বললাম "আমরা ৫ বন্ধু মিলে টেকনাফ যাইতেছি কিন্তু আমাদের গাড়িটা খারাপ হওয়ায় আমরা আপনার এই বাড়িতে আজকের রাত টা কাটানোর জন্য এসেছি"। প্লিজ থাকতে দেন, " তখন লোকটি বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো তোমরা জানো না এখানে গভির রাতে অনেক ভয়ানক আত্তা চলাচল করে"। তখন আমি বললাম "প্লিজ আমাদের আজকের রাতটা থাকতে দেন, আমরা ভুল করেছি, কাল সকাল হলেই আবার চলে যাবো"। শেষ পর্যন্ত লোকটি আমাদের অনুমতি দিলো এবং বললো " ভেতরে যাও, ভেতর থেকে কোথাও যাবেন না, কাল সকাল হলেই চলে যাবেন,। বলে লোকটি চলে গেলো বাহিরে। আমি তখন সবাই কে বললাম "চলো সামনের মেজে পরিস্কার করে ঘুমাবো" এবার সবাই মিলে আমরা মেজে পরিস্কার করে মেজেতেই শুয়ে পরলাম, একটু পর আমাদের ঘুম ও ধরে গেল। কিন্তু হঠ্যাৎ করে কি জেন একটা শব্দ হলো সেই শব্দে আমাদের ঘুম ভেঙ্গে গেল। কিন্তু উঠে দেখি সোবহান নেই, তখন সাব্বির ও সবাইকে বললাম কিরে সোবহান কই, এই ছেলে কই গেল আবার, তখন সাব্বির বললো মনে হয় ভুতে ধরে নিয়ে গেছে, এবার আমাদের ও ধরবে"। আমি বললাম, "চুপ কর বাহিরে গিয়ে আগে দেখি", আমরা সবাই এক সঙ্গে বাহিরে বাহির হলাম, এবং সামনে দেখলাম সোবহান, আমি সোবহান কে বললাম "কিরে কই গেছলি", তখন সোবহান বললো "আমার প্রসাপ লাগছিলো তাই প্রসাপ করতে গেছলাম", তখন আমি বললাম, "তুই প্রসাপ করতে যাবি আমাদের বলা লাগবেনা, সোবহান বললো, "আরে আমার খুব প্রসাপ লাগছিলো সেজন্য বলিনি, আর জানিস আমি প্রসাপ করতে ধরছি ঠিক তখন একটা শব্দ হলো, আমি খুব ভয় পাছলাম, কিন্তু আমি আসতে ধরেছি তখন আমার কানে নাচের শব্দ আসলো, আমি ওই সামনের গাছটিতে গিয়ে দেখি কিছু ভয়ানক লোক তবলা বাজাচ্ছে আর নাচতেছে, আমি তখন বললাম" চুপ করতো তোর মাথা গেছে, আউল বাউল বকা শুরু করে দিছিস। তখন সোবহান বললো আমি জানি তুই বিস্যাশ করবিনা সে জন্য আমি আরার মোবাইল এ সব ভিডিও করে নিয়েছি দেখবি, আমি বললাম দেখা দেখি, তখন সোবহান মোবাইল বাহির করে ভিডিও চালু করলো, কিন্তু আমি দেখি ভিডিওর মদ্ধে কিছুই নেই, শুধু বটগাছ টি আমি তখন শান্তকে বললাম কিরে গাধা কিছু নাই তো শুধু বট গাছ টি, তখন শান্ত বললো না আমি তো ওই ভয়ংকর লোকগুলিকে ভিডিও করলাম, তখন আমি বললাম তা হলে কেউ গেল তারা, তখম শান'ত বললো মনে হয় আমার ফোনে ভুত ডুবেছে বলেই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিল শান্ত আমি বললাম কিরে তোর মাথা খারাপ হয়েছে নাকি, যে তুই ফোনটা মাটিতে ফেলে দিলি, চলতো দেখি কোথায় ভুত তখন শান্ত বললো চল আজকে আমি তোক ওই ভুত গুলি দেখাবো, আর এদিকে শান্ত বললো যদি আবার ভুত গুলি আমাদেরকে ধরে, আমি একটু রাগ হয়ে বললাম ওই তুই এতো ভয় পাশ ক্যানরে চল আমার সাথে, শান্ত আমাদেরকে ওই বটগাছ টার ওখানে নিয়ে গেল, আমি তাকিয়ে দেখি বটগাছ টার নিচে কিছুই নেই, আমি রাগ হয়ে বললাম ওই গাধা কইরে ভুত, বুজছি তোর মাথা যেটুকু ভাল ছিল সবটুকুই শেষ হয়ে গেছে, চল ঘরে যাই নইলে আবার শত্তি শত্তি ভুত আসবে, আমরা সবাই ঘরে জেতে ধরলাম কিন্তু সেই মুহুর্তে পেছন থেকে যেন কে একজন বললো কই যাও তোরা, আমরা সবাই মিলে পেছন দিকে তাকিয়ে দেখি ওরে বাবা কি ভয়ানক লিম্বা লোকটি, আমরা সবাই দেখে থত থর করে কাপতে লাগলাম, কেউ ভয়তে কথা বলতে পারছে না লোকটিকে দেখে, আমিও খুব ভয় পেয়েছি এবং সাহস করে সাংবাদিকের মতো প্রশ্ন করতে লাগলাম, প্রথমে বললাম, "আপনি কে ভাই? ভুতটি বললো আমি এই প্রাসাদের একসময় মন্ত্রি ছিলাম, আবার আমি প্রশ্ন করলাম, আপনি কি মরে গেছেন? লোকটি বলো হ্যা আমি আজ থেকে দু বছর আগে মরে গেছি, শেষে আমি বললাম আপনি কি চান আমাদের কাছ থেকে, লোকটি গম্ভীর কন্ঠে বললো তোদের জান, আমি খুব ভয় পেলাম যেন আমার কলজা টা আকাশে উড়ে গেছে, শুধু আমিই না সবারঈ। আমি বললাম ভুত ভাই কেন আমাদের মারবেন,। সঙ্গে সঙ্গে সে বললো তোরা এখানে এসে ভুল করেছো এবং এই ভুলের সাজা মৃতু। আমরা তখন সবাই বললাম "আমাদের মাপ করে দেন এরকম ভুল আর কখনই হবে না, তখন ভুতটি বললো না তোদের সাজা পেতেই হবে, মৃতুর জন্য প্রস্তুত হও, আমরা তখন সবাই মিলে একসাথে বললাম, আমরা প্রস্তুত, আল্লাহ্‌ যদি তোর হাতে মৃতু লেখে রাখেন তবে তোর হাতেই হবে আর মৃতু যদি না লিখে থাকে তা হলে শত চেস্টা করলে ও পারবিনা আমাদের মারতে,। তখন ভুতটি ক্ষিপ্ত হয়ে বললো "কথা না বারিয়ে বল তোরা মৃতুর জন্য প্রস্তুত তো" আমরা সবাই বললাম "হ্যা আমরা প্রস্তুত" তখন ভুতটি হাত বাড়ালো সঙ্গে সঙ্গে একটা ধারালো তলোয়ার ভুতটির হাতে আসলো। আমরা সবাই মাথা নত করলাম, ভুতটি আমাদের দিকে তলোয়ার দিয়ে গলা কাটতে ধরলো, কিন্তু যখনি তলোয়ার দিয়ে আঘাত করতে ধরলো তখনি যেন ভুতটির হাত থেকে তলোয়ার পরে গেল মাটিতে এবং সঙ্গে সঙ্গে অদৃশ্য হয়ে গেল তলোয়ারটি। আমরা সবাই অবাক, ঠিক তখনি আমাদের সামনে আরেকজন ভয়ানক মানুষ এসে হাজির, মানুষ টিকে ভুতটি দেখে সঙ্গে সঙ্গে মিসে গেল, আমরা ভাবলাম এইবার মনে হয় এই লোকটি আমাদের মেরে ফেলবেন। কিন্তু একটু পর তা আর হলো না, লোকটি আমাদের বললো তোমরা এখানে কি করো আমি তখন বললাম আমাদের মাপ করবেন, আমরা ভুল পথে এসেছি, তখন ভুতটি বললো আচ্ছা এখন তোমরা ওই প্রাসাদে গিয়ে ঘুমিয়ে পড় এবং কাল সকাল হলেই চলে যাবে। আমি তখন লোকটিকে আপনি কে একটু কইঈ বলবেন? লোকটি তখন বললো, তাহলে শোনো " ওই যে প্রাসাদটি দেখছো সেই প্রাসাদের আমি এক সময় রাজা ছিলাম, আরর যেই লোকটি তোমাকে মারতে ধরেছিল সে আমার মন্ত্রী, কিন্তু আমাকে আমাদের শত্রুরা মেরে ফেলেছিল, কিন্তু আমি তাদের সবাইকে মেরে ফেলেছি, আমি এখন মুক্তি,।বলেই লোকটি মিশে গেল। আমরা তখন সবাই প্রাসাদে গিয়ে ঘুম গেলাম, একটু পরেই ফজরের আজান হলো, আমরা সবাই এক সঙ্গে নামাজ পরে রওয়ানা হলাম আমাদের গন্তব্ব স্থানে।
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTk8SBtQImbWaZ2wtvHP13yd5B9PIqHr0-lA-r1Sj15bi9Xn8EjrlUT7q9I8dn9_eVkXADyMH461EOHWn37HZN2PyLU62yZUrp033mHqtfrD5jfTHfukN3pSVC3Ek_cOEKK-2McmRxug/s320/lost-places-old-decay-ruin-162389.jpeg
https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhTk8SBtQImbWaZ2wtvHP13yd5B9PIqHr0-lA-r1Sj15bi9Xn8EjrlUT7q9I8dn9_eVkXADyMH461EOHWn37HZN2PyLU62yZUrp033mHqtfrD5jfTHfukN3pSVC3Ek_cOEKK-2McmRxug/s72-c/lost-places-old-decay-ruin-162389.jpeg
NazirsNotes
https://nazirsnotes.blogspot.com/2019/04/blog-post_13.html
https://nazirsnotes.blogspot.com/
https://nazirsnotes.blogspot.com/
https://nazirsnotes.blogspot.com/2019/04/blog-post_13.html
true
4922265570751840682
UTF-8
Loaded All Posts Not found any posts VIEW ALL Readmore Reply Cancel reply Delete By Home PAGES POSTS View All RECOMMENDED FOR YOU LABEL ARCHIVE SEARCH ALL POSTS Not found any post match with your request Back Home Sunday Monday Tuesday Wednesday Thursday Friday Saturday Sun Mon Tue Wed Thu Fri Sat January February March April May June July August September October November December Jan Feb Mar Apr May Jun Jul Aug Sep Oct Nov Dec just now 1 minute ago $$1$$ minutes ago 1 hour ago $$1$$ hours ago Yesterday $$1$$ days ago $$1$$ weeks ago more than 5 weeks ago Followers Follow THIS PREMIUM CONTENT IS LOCKED STEP 1: Share to a social network STEP 2: Click the link on your social network Copy All Code Select All Code All codes were copied to your clipboard Can not copy the codes / texts, please press [CTRL]+[C] (or CMD+C with Mac) to copy Table of Content