ধুমপান মৃতু ঘটায় মো নাজির হোসেন ধুমপান যে মৃতু ঘটায় কথাটা ১০০% সত্য। ধুমপান কাকে বলে? সিগারেটের নেশাই...
ধুমপান মৃতু ঘটায়
মো নাজির হোসেন
ধুমপান যে মৃতু ঘটায় কথাটা ১০০% সত্য। ধুমপান কাকে বলে? সিগারেটের নেশাই হচ্ছে ধুমপান। বর্তমানে অনেকেই আমাদের দেশে এই ধুমপানের নেশা করে। এই নেশাটি হচ্ছে একটা বদ অভ্যাস।ধুমপানের ফলে অনেক রোগ হয়, এই রোগের ফলে অনেক মানুষের মৃতু ঘটে। কোনো খারাপ মানুষ যদি ভালো হতে চায় তবে তাকে অনেক সাধনা করতে হয়। আবার যদি কোনো ভালো মানুষ খারাপ হতে চায় তবে তাকে কোনো চেষ্টাই করতে হয়না ফলে সে অতি তাড়াতাড়ি খারাপ হয়ে যায়।
কিন্তু ধুমপানের নেশা একটি
মারাক্তক নেশা। এই নেশার ফলে মানুষের মৃতু ও ঘটে কিন্তু তবুও অনেক মানুষই
ধুমপান করে। কেই যদি এই ধুমপানের দুর অবস্থা বা ক্ষতির দিক সম্পর্কে বুঝালে
বুঝতে চায় না কিন্তু তাকে বুঝতে হবে এই নেশা ছাড়তে হবে। ধুমপানের ফলে
যুবক, যুবতী/কিশোর, কিশোরী মৃতুর হাত থেকে পাড়ি দিচ্ছে।
তেমনি একজন নাম ছিল তার নিলয়। নিলয় খুব ভালো ছেলে এবং ছাত্র। সে প্রতিদিন সকালে উঠে নামাজ পড়ত, নামাজ পড়ে একটু হেঁটে পড়তে বসত এবং পড়া শেষ করে খাওয়া করত খাওয়া শেষে বই গুছিয়ে কলেজে যেত। তাড়া ছিল ধ্বনি মানুষ। তাদের অর্থের কোনো অভাব ছিল না। তার বাবা সরকারি অফিসে চাকরি করত এবং তার মা গ্রিহিনী। তার ছিল একমাত্র বোন, সে ক্লাস পন্চম শ্রেনিতে পড়তো। নাম ছিল তার নাফিসা। আর নিলয় এবার ডিগ্রি ফাস্ট ডিয়ার এ চান্জ পেয়েছে। তার বাবা মায়ের সপ্ন ছিল তাকে একজন ভালো ও সত্ শিক্ষক বানাবে। নিলয়ের কলেজে ভালো খারাপ উভয় ছাত্র ছিল। আবারো কেউ কেউ ধুমপান ও করত। একদিন নিলয়ের সাথে এক বন্ধুর পরিচয় হয় সে তার কলেজে নতুন চান্জ হয়েছে তার নাম ছিল মেহেদি হাসান। তাদের পরিচয় হয়ে তারা দুজন বন্ধু হয়ে গেলো। তাদের পরিচয় হয়ে তারা দুজন বন্ধু হয়ে গেলো। কিন্তু মেহেদি যে ধুমপান করত তা সে জানত না। একদিন নিলয় আর মেহেদি যায় ক্লাসের বাহিরে বাগানে বেড়াতে যায়। কিন্তু মেহেদিরতো ধুমপানের নেশা সে পকেট থেকে সিগারেট বের করে আগুন জালিয়ে ধুমপান করা শুরু করল। কিন্তু নিলয়তো একজন ভালো ছেলে সে তার কাছ থেকে একটু দূরে সরে জেতে চায় কিন্তু পারে না। আর মেহেদি বলে কিরে তুই কই জাছ আয় একটু টান দেকবি তোর সব চিন্তা দূর হয়ে যাবে। এভাবে তাকে অনেক কথা বলল তারপর নিলয় নিয়ে একটু টানলো এভাবে তিন মেহেদির সাথে ধুমপান করে তার ও ধুমপানের নেশা হয়ে গেল দেখা গেল নিলয় তার বন্ধু মেহেদিকে ও কাটিয়ে দিয়েছে। এভাবে সে আচতে আচতে ধুমপান থেকে গাজা, মাদক, হিরোয়িন এ চলে গেল। তখন থেকে নিলয় প্রতিদিন ধুমপানের পেছনে প্রায় ৫০ টাকা ব্যায় করত। এমনকি সে তার পড়ার ঘরে ও ধুমপান করত। একদিন সে বাড়ির বাহিরে একটু দূরে ফাঁকা যায়গায় ধুমপান করা শুরু করল। হঠাত্ করে নিলয়কে একজন দেখে ফেলল। আচতে আচতে সবাই জানল জে নিলয় এখন ধুমপান করে। সে এখন সবার চোখে খারাপ হয়ে গেছে। আগে যাকে সবাই ভালোবাসত তাকে এখন সবাই ঘৃণা করে। ধুমপান সম্পর্কে মেহেদিকে অনেকেই বুঝাতো কিন্তু মেহেদি বুঝতো না। তবুও সে ধুমপান ছাড়লে না। একদিন মেহেদির হঠাত্ করে ফুসফুসে কাশি হলো সেই কাশির ফলে বড় ধরনের রোগ হলো। মেহেদিকে অনেক ডক্টর এনে দেখানো হয়েছে কিন্তু কোনো ফলয় পাওয়া গেল যায়নি। একদিন তার হঠাত্ করে এমন রোগ হলো ফলে তাকে সেদিনই ছেড়ে চলে যেতে হলো মাত্র ২০ বছর বয়সে।
কিছু কিছু বন্ধু হচ্ছে উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে পড়া পাথরের টুকরার মত যা সমাজের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তেমনি নিলয় অসত্ বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করে। সেই অসত্ বন্ধু তাকে ভুলিয়ে সিগারেটের নেশা করে সেই নেশায় তাকে আজ পৃথিবী টাই ছাড়তে হলো। তার মৃতুর জন্য দায়ি তার বন্ধু মেহেদি। আর আরেকটা দোষ হলো বড়দের কথা অমান্য করা সে জদি বড়দে কথা অমান্য না করতো তাহলে সে মৃতুর মুখে পড়তো না। বড়রা যখন তাকে সিগারেট খাওয়া সম্পর্কে বুঝাতো সে তখন কোনো কথাই বুঝতো না। সে জদি বুঝতে তা হলে এতক্ষন তাকে এত সন্দর পৃথিবী যেতে চলে যেতে হতো না। তাই আমরা সবসময় বড়দের কথা মতো চলবো গুরুজনের আদেশ মানব। আর কোনো অসত্ বন্ধুর সাথে বন্ধুত্ব করবোনা জদি করে থাকি তাহলে তাকে ধুমপানের নেশা থেকে বুঝাতে হবে, না বুঝলে বন্ধুত্ব রাখবো না। তাই আমরা জীবনকে বলব হ্যাঁ, ধুমপানকে না। ধুমপান মুক্ত জীবন গড়লে আমাদের জীবন সুন্দর হবে। এই ধুমপানই মৃতুর আসল কারন।
COMMENTS