স্বপনের যুদ্ধ মোঃ নাজির হোসেন এক ছিল ছোট্ট বালক নাম তার স্বপন। স্বপন খুব সুন্দর ও দুস্টু ছেলে। তাইতো তার মনে শুধু প্রবল সপ্ন জা...
স্বপনের যুদ্ধ
মোঃ নাজির হোসেন
এক ছিল ছোট্ট বালক নাম তার স্বপন। স্বপন খুব সুন্দর ও দুস্টু ছেলে। তাইতো তার মনে শুধু প্রবল সপ্ন জাগতো বলা যেত যে সে সপ্নের মদ্ধেই বাস করতো এই মিস্টি বালকটি। আর একটা দুক্ষের বিষয় সে সময় আমাদের এই দেশ পশ্চিম পাকিস্তানের হাতে বন্ধি ছিল। আর এই বালকটি সর্বদাই ভাবতো সে বড় হয়ে শিক্ষিত হয়ে একজন ভাল সাংবাদিক হবে কারন সে সময় আমাদের দেশে নানা রকম ব্যবিচার, অন্যের বাড়ি লুন্ঠন, নারী নির্যাতন, ইত্যাদি হতো। আর এ সকল চিত্র সারা বিষ্যে তুলে ধরবে সে এ সপ্নেই ভাবতো সে ভবিষ্যতের জন্য।
কিন্তু আরেকটা দুক্ষের বিষয় হলো শিক্ষিত হতে হলে তো ভাল করে পড়ালেখা করতে হবে, পড়ালেখা না করলে তো ভাল সাংবাদিক হওয়া যাবে না, আর পড়ালেখা করার জন্য তো অনেক টাকার প্রয়োজন। এতো টাকা সে কেমনে যোগাবে, কারন তার মা তো অন্যের বাড়িতে কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে সংসার চালায়। আর তার বাবাতো অনেক আগেই জন্ডিস রোগে মারা গেছে। ভাবেই তার জীবনটা ভাল ভাবে চলে।
কিন্তু একদিন হঠ্যাৎ করে স্বপনদের গ্রামের পাশের প্রাইমারি বিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীরা ক্যাম্প করেছে, তাদের উদ্যেষ্য তারা স্বপনদের গ্রামে হানা দিবে। আর এ খবর শুনে গ্রামের সবাই গ্রাম ছেরে চলে যাওয়া শুরু করলো, কিন্তু এদিকে স্বপনরা কি করবে কই যাবে দুরে কোথাও তো কোনো আত্যিয় সজনের বাড়ি নেই। শেষ পর্যন্ত তারা গ্রামেই থেকে গেল। কিন্তু একদিন সকালবেলা স্বপন গেছে বাজারে, বাজারে গিয়ে দেখে কোনো দোকান খোলা নেই, থাকবেই বা ক্যামনে সবাই পাকিস্তানের ভয়ে তো চলে গেছে গ্রাম ছেড়ে। তবে গ্রামের তাদের মতো অসহায় লোকেরাই আছে। যাই হোক স্বপন বাজার থেকে বাড়িরে যাওয়া শুরু করলো। কিন্তু দুক্ষের বিষয় বাড়িতে সে গিয়ে দেখে তাদের এলাকার সকলের বাড়ি ঘর ভাংচুর করেছে, তখন স্বপন তাদের বাড়িতে ডুকে পড়লো এবং দেখে হায়রে কি সর্বনাশ পাকিস্তানি বাহিনীরা তার মাকে নির্মম ভাবে হত্যা করতেছে এ কাহিনী দেখে সে "মা" করে জোরে চিৎকার করেন। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনীরা তাকে দেখে তাকেও ধরে গুলি করে হত্যা করেন, যেন তার নিথর দেহ টা ধাপ করে পড়ে যায় মাটিতে। এ মাটিতেই পরে রইলো তার নিথর দেহটা।
COMMENTS